আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে: মির্জা আলমগীর

আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে: মির্জা আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দল পুনর্গঠন করে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আলমগীর বলেন, পরাজয় মনে করলেই পরাজয়। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সারা দেশের মানুষকে একত্রিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আমাদের ভাইদের মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে একটি কাজ অবশ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগ চিরদিনের জন্য জনগণের মন থেকে দূরে চলে গেছে। ওই নির্বাচনে পরাজয় আমাদের হয়নি, পরাজয় হয়েছে আওয়ামী লীগের, নৈতিক পরাজয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সেই দল, যারা শুধু ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা সংবিধান এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।

নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হতাশার কোনো জায়গা বিএনপিতে নেই। হতাশাবাদীরা কখনও জিয়াউর রহমানের অনুসারি হতে পারেন না। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন, বিজয় আমাদের আসবেই।

দেশে উন্নয়নের প্রথম ভিত্তি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল মান্নান, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ।

এমআই