আ’লীগ-যুবলীগের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ, ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫০

আ’লীগ-যুবলীগের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ, ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫০

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে রক্তক্ষয়ী বন্দুকযুদ্ধে শিশুসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১২ জন।

মঙ্গলবার বিকালে খলিফারহাট বাজারে এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫০ জন।

এলাকাবাসী জানায়, নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শিশুসহ ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় স্থানীয় খলিফারহাট বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শান্ত (১০), জিয়া (২০), সোলাইমান (২৮), সুমন (২৩), মো. জসিম (৪৫), অহিদ উল্যা (৩০), মাসুদ (৩৫), মঞ্জু (২২), মনির আহম্মদ (৬০) ও সবুজ (২৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় জহিরের দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রাসেলসহ ৭ জন আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত রাসেলসহ ৩ জনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।

আদালত থেকে বের হয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপনসহ অন্য আসামিরা সিএনজিযোগে এলাকায় ফেরার পথে খলিফারহাট বাজার সংলগ্ন কসাই বাড়ির সামনে তাদেরকে লক্ষ্য করে একদল সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে তারা গুলিবিদ্ধ হন। এসময় সন্ত্রাসীরা বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপন জানান, বিকাল ৪টায় মাইজদী থেকে এলাকায় ফেরার পথে স্থানীয় সন্ত্রাসী কসাই জহির, রশিদ, রাসেল ও রহিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের উপর অতর্কিত গুলি চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা খলিফারহাট বাজারের ৫০টিরও উপরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে বলেও অভিযোগ করেন শিপন।

সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একে/