জাতির উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যকে ‘প্রতারণামূলক’ বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের মধ্যে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেই ব্যাখ্যাই প্রমাণ করে যে তারা আসলে কোনো বিজয় অর্জন করেননি, জনগণের ভোটকে ডাকাতি করে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যাটা সেটাই প্রমাণ করে।
সংসদে আসতে হাসিনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই মুহূর্তে সংসদে যাওয়ার বা শপথ নেওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
টানা তৃতীয়বার বিতর্কিত সরকার গঠনের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এই ভাষণের পর তাৎক্ষণিক ভাবে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া দেন।
মির্জা আলমগীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, এই নির্বাচনে মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি করেছে যা ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কখনো হয়নি। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা আবার দখল করে নিয়েছেন। এরা আবার বলছেন দেশ পরিচালনা করবেন এবং এরা বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, এই বক্তব্যের মধ্যে আরও একটা প্রতারণা জনগণের সঙ্গে করা হচ্ছে, বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মানুষকে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, একাদশ সংসদে যাওয়ার বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার। এটা কী সংসদ ধরা যায়। তিনি বলেন, বিএনপি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মুহূর্তে সংসদ যাওয়ার বা শপথ নেওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি বলছে নির্বাচন বাতিল করেন, আবার নতুন নির্বাচন দেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেন। সবাই অংশগ্রহণ করবে। তারপরে যে ফলাফল আসবে সেই ফলাফলের ভিত্তিতে সংসদ এবং, সরকার গঠন হবে। আমরা তো আগেই বলে দিয়েছি। নতুন করে বলার কিছু নেই।’ প্রধানমন্ত্রীর তাঁর বক্তব্যের মধ্যে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন তার বিজয় হলো? সেই ব্যাখ্যাই প্রমাণ করে যে তারা আসলে কোনো বিজয় অর্জন করেননি, জনগণের ভোটকে ডাকাতি করে নিয়ে গিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যাটা সেটাই প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, এর আগে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। সঠিক ভোটে জিতলে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ইতিমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া এবং বিভিন্ন দেশগুলো বক্তব্যের মধ্যে এসেছে যে, এই নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি এবং এখানে মানুষের মতামতের প্রতিফলন হয়নি। ভয়াবহ রকমের নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি হয়েছে।
এমআই
