জামিনে মুক্তি পেলেন এহসানুল হক মিলন

জামিনে মুক্তি পেলেন এহসানুল হক মিলন

দীর্ঘ ২ মাস ৭ দিন কারাগারে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন।

সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় মিলনের পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

মিলনের আইনজীবী মাইনুল ইসলাম জানান, এর আগে গত বছরের ২৩ নভেম্বর বন্দর নগরী চট্টগ্রাম শহরের একটি বাসা থেকে পুলিশ বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি আরো জানান, ফের গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করে মিলন জেলগেইট থেকে দ্রুত সরে পড়েন। তবে এ সময় মিলনের সহধর্মিনী নাজমুন নাহার বেবী এবং কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, প্রতিমন্ত্রী মিলনের বিরুদ্ধে এলাকায় হত্যা ও চেষ্টা, দাঙ্গাহাঙ্গামা, চাঁদাবাজি এবং ছিনতাইসহ মামলা মোট ২৫টি রয়েছে। এরমধ্যে পুলিশ গত বছরের ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তারের পর মিলনকে ২০০৬ সালে একটি হত্যা, ২০১০ একটি হত্যা চেষ্টা এবং ২০১১ সালে একটি চাঁদাবাজি মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখিয়েছিল। পরে আদালতে এসব মামলার নথি উপস্থাপিত না হওয়ায় বিচারক মোহাম্মদ শফিউল আজম মিলনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পর থেকে গত ২ মাস ৭ দিন বিএনপির এই নেতা চাঁদপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০১১ সালে কয়েকটি মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইতে গিয়ে মিলন গ্রেপ্তার হন। পরে প্রায় দুই বছর জেল খেটে জামিনের মুক্ত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মিলন বিদেশে পাড়ি দেন। দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর দেশের বাইরে থাকার পর দেশে ফিরে চট্টগ্রামে তার একবন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করেন মিলন। কিন্তু এরপরই চাঁদপুর জেলা পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামে গিয়ে মিলনকে গ্রেপ্তার করে।

একে/