নাশকতার দু্ই মামলায় মির্জা আলমগীর-মওদুদ-আব্বাসদের বিষয়ে আদেশ ২৪ ফেব্রুয়ারি

নাশকতার দু্ই মামলায় মির্জা আলমগীর-মওদুদ-আব্বাসদের বিষয়ে আদেশ ২৪ ফেব্রুয়ারি

 

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল ও খিলগাঁও থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৪ জ্যেষ্ঠ নেতাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ আদেশের এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শ্রী বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ইকরামুল হক টুটুল প্রমুখ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া এ দুই মামলার আসামিরা হলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এএমজেড জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

শুনানি শেষে বিএনপি নেতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার শুনানির নির্ধারিত দিনে বিএনপি নেতাদের জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।

প্রসঙ্গত, ৪ জানুয়ারি জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শুরু হয়। এর পর ৭ জানুয়ারি আপিল শুনানির জন্য ঠিক করা হয়। ওই দিন আপিল শুনানি না করে ২০ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি, পরে আবার ২৪ জানুয়ারি সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি মুলতবি করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে রাজধানীর হাতিরঝিল ও খিলগাঁও থানায় মামলা দুটি করা হয়। দুটি মামলাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বিএনপি নেতারা।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মগবাজার রেলগেট এলাকায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আক্রমণ, যানবাহন ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।

এমজে/