কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ

কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ

সিঙ্গাপুরের ডাক্তাররা ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা লে. ক. (অব.) ফারুক খান এ কথা জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, কাদেরের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। তবে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের এই দুই ডাক্তার রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে সরাসরি তাদেরকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ভারত থেকেও চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হচ্ছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ও স্থানান্তরের মতো অবস্থায় না থাকায় বিদেশ থেকে চিকিৎসকদের আনার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। তিনি জানান, কাদেরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে তবে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে তাকে স্থানান্তর করা সম্ভব নয়।

রবিবার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা করে ডাক্তাররা তার করোনারি রক্তনালীতে তিনটি ব্লক থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তার হার্ট এটাক হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে একটি ধমনিতে রিং বসিয়ে রক্ত চলাচলের পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকরা বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানিয়ে বলেন, কাদের এখনো বিপদমুক্ত নন। আগামী ২৪-৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর তার অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্ভব হবে।

কাদেরের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানান, এক পর্যায়ে তার হৃৎস্পন্দন কমে মিনিটে ৩৫ বার হয়ে গেলে অস্থায়ী পেসমেকার স্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য আনার জন্যও চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। তার ডান পাশের করোনারি রক্তনালীটি ১০০ শতাংশ বন্ধ রয়েছে। আর যে রক্তনালী দিয়ে হৃদপিণ্ডের পেশিতে রক্ত সরবরাহ হয় সেটিতে স্টেন্ট (রিং) বসিয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার আরেকটি করোনারি রক্তনালীতে ব্লক রয়েছে।

এমআই