এভাবে চললে রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র পরিচালনায়ও অপ্রাসঙ্গিক হবে: মেনন

এভাবে চললে রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র পরিচালনায়ও অপ্রাসঙ্গিক হবে: মেনন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, যদি রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে তাহলে রাজনৈতিক দল কেবল নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায়ও একসময় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। এটা যেমন আমাদের জন্য প্রযোজ্য, সরকারি দলের জন্যও প্রযোজ্য। নির্বাচনকে তাই যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।

রবিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলের শরিকদের নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে বলেছেন। কিন্তু যদি গণতান্ত্রিক স্পেস না থাকে তাহলে কেউ সংগঠন নিয়ে, আন্দোলন নিয়ে বা ভোট নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। সেই স্পেস তৈরি করতে হবে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকে। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং দলীয় নেতারা যখন ভোটারদের বলেন, ‘ভোট তো দেখেছো, ভোট দিতে যেতে হবে না।’ তখন সেই ভোট সম্পর্কে কী মনোভাব সৃষ্টি হয়? একটি সামগ্রিক অনাস্থার জন্ম হয়। নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধাদান, মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলা, ঊর্ধ্বমহলের ক্লিয়ারেন্স আছে কি না, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের পুলিশের প্রশ্ন এবং টাকা ছড়ানোর উদ্বেগজনক খবর আসছে।

মেনন আরও বলেন, দেশের উন্নতি হচ্ছে। তবে এই উন্নয়নের সুফল জনগণ পাচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য গবেষণার দরকার নেই। খালি চোখেই আমরা দেখছি। প্রতি বছর আট লাখ মানুষ বেকারের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকির বিষয়। আর্থিক খাতের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির ওপর লুটেরাদের আধিপত্য আরও দৃঢ়ভাবে চেপে বসেছে।

এমজে/