সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আপিলে সাজার রায় স্থগিত ও বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ আপিল দায়ের করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, হাইকোর্টে দুদকের আবেদন এক তরফাভাবে শুনানি করে রায় দেওয়া হয়েছে। ওই রায়ে বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছেন। ন্যায়বিচার হলে তিনি এ মামলা থেকে খালাস পেতেন। এজন্য তিনি আপিল দায়ের করেছেন। আশা করছি, আপিল বিভাগে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।’

গত বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় বেগম খালেদার সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেন।

একইসঙ্গে পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে দেন আদালত। এ ছাড়া ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় বেগম খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারত মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়।

রায়ের পর ওই দিনই বেগম খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

এমজে/