নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট

নতুন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট

নতুন নির্বাচনের দাবিতে আগামী ২৬ মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূটির মধ্যে মানববন্ধন, সমাবেশ কর্মসূচি রয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক হয়। সেখানে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কর্মসূচি তুলে ধরেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, ২৬ মার্চ সকাল ৯টায় স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবে ঐক্যফ্রন্ট। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, নিরাপদ সড়ক, উপজেলা ও ডাকসু নির্বাচনে অব্যবস্থপনা এবং সামগ্রিকভাবে নির্বাচনে ছিনতাই করা, দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদে ৩০ মার্চ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে।

এছাড়া আগামী ৩১ মার্চ বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে হবে আলোচনা সভা। এরপর এপ্রিল মাস জুড়ে বিভাগীয় শহরে কর্মী-সমাবেশ ও গণশুনানির মতো কর্মসূচি পালন করা হবে। বিভাগীয় কর্মসূচির পর জেলা পর্যায়েও একই কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত গণশুনানির ওপর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথাও ভাবছে এই রাজনৈতিক জোট।

মান্না বলেন, ‘পরিস্থিতি বেশি খারাপ হচ্ছে। মানুষ ভোটের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে। এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আমরা অটল আছি। ’

ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘দেশে একদলীয় শাসন ও ফ্যাসিবাদ চলছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। সরকার স্বীকার করেছে নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনেও ভোট ডাকাতি হয়েছে। বিনা নির্বাচনে অনেকেই বিজয়ী হয়েছেন। রাঙামাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। কোথাও কোথাও ভোটারও ছিল না। অনেকেই গুম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করতে পারছে না।’

বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও মুখপাত্র বিএনপি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন না। আ স ম রবের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- গণফোরাম থেকে মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আবদুল মঈন খান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।

এমআই