জাতীয় নির্বাচনে সরকারের নিশ্চিত পরাজয়: খসরু

জাতীয় নির্বাচনে সরকারের নিশ্চিত পরাজয়: খসরু

ঢাকা, ২০ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : আওয়ামী লীগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন ভণ্ডুল করে দিয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাদের পরাজয় নিশ্চিত।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিক উপলক্ষে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি বিপন্ন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির খসরু বলেন, আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রেখে এই সরকার একটির পর একটি অগণতান্ত্রিক কাজ করে যাচ্ছে। ডিএনসিসি নির্বাচনে তারা এই কাজটি করেছে। কারণ এই নির্বাচনে তারা বিশালভাবে পরাজিত হতো। এ জন্য তারা এই নির্বাচনটিকে ভণ্ডুল করে দিয়েছে।

তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা চিন্তা করেছে এই নির্বাচনে তাদের জয়লাভ করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই। আর তা না হলে তাদের পরাজয় হবে। যেটা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং এটার মাধ্যমে স্পষ্ট ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাদের পরাজয় নিশ্চিত।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ইদানিংকালে ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশ্য আরো পরিষ্কার হয়ে গেছে ডিএনসিসি নির্বাচনের মাধ্যমে। এই নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে আমরা সবার আগে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিলাম। এই নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আমাদের যে সিরিয়াসনেস ছিল সেটা আমরা প্রকাশ করেছি। আমাদের ঢাকা উত্তরের নেতাকর্মীরা সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। এই অবস্থা দেখে ক্ষমতাসীনরা ভেবেছে এই নির্বাচন তাদের জন্য ভালো হবে না। তারা জানতো এই নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত। বিগত সিটি নির্বাচনেও তাদের পরাজয় হয়েছিল। আমরা জানি কীভাবে তারা ক্ষমতা দখল করেছিল।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের শেষে বাংলাদেশে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনের জন্য আজকে জনগণের মধ্যে অনেকগুলো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্নগুলো হচ্ছে নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না? এই প্রশ্নটা আমরা যতই দূরে সরিয়ে দিতে চাই এটা আবার সামনে চলে আসে। সবার মনেই একটা প্রশ্ন আগামী নির্বাচনে আমরা আমাদের নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার অর্থাৎ আমার ভোট আমি প্রয়োগ করতে পারব কি না, এই প্রশ্নগুলো সবার সামনে উঠে এসেছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৮৫৭ঘ.)