বেরোবিতে সংঘর্ষে ৩ ছাত্রলীগ নেতা আহত, থমথমে পরিস্থিতি

বেরোবিতে সংঘর্ষে ৩ ছাত্রলীগ নেতা আহত, থমথমে পরিস্থিতি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবিতে) কমিটি পূর্ণাঙ্গের জের, আধিপত্য বিস্তার ও ইভটিজিংয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে তিন ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আজম ফাহিন ও সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের অনুসারীদের মাধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা ফাইসাল আজম ফাহিন, রুবেল হোসেন, মৃতিশ চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এসময় স্বাধীনতা স্মারকে ফুল প্রদান করা হয়।

এ সময় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রদান না করে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার ও কর্মীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করার অভিযোগ তুলে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখকে বর্জনের ঘোষণা দেয় তারা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের অনুসারী কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব হোসেন ও তার দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ তুলে।

এসময় ফয়সাল আজম ফাহিনের অনুসারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষ ও ফজলে রাব্বি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরেন। হাতাহাতি শেষে এ ঘটনা ছড়িয়ে পরলে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সংঘর্ষ হয়। এ সময় রাজিব হোসেনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে ফাহিন গ্রুপের রাব্বি ও সুব্রত আহত হয়।

পরে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারও যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, একটি অস্থিতিশীল গ্রুপ ছাত্রলীগকে কলুষিত করতে এমন কার্যকলাপ করছে। ক্যাম্পাসে যখন সুষ্ঠু পরিবেশ ও ছাত্রলীগ গোছানোভাবে চলছে তখন প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করতে তারা এমন করছে।

বিষয়টি নিয়ে ফয়সাল আজম ফাহিন বলেন, দুই বছর পেরিয়ে গেলে তারা দুজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের তাদের প্রাপ্য সম্মান পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিচ্ছে না। দুজনে মিলে বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগকে ভাঙ্গিয়ে সুবিধা নিচ্ছে। যার ফলে বঞ্চিতদের আজ এ গণজাগরণ ঘটেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মুহিব্বুল ইসলাম বলেন, মেয়েলি ঘটনায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. একে এম ফরিদ উল ইসলাম বলেন, ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমজে/