শিগগিরই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন

শিগগিরই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যা হওয়ার হয়েছে, এ বছরের মধ্যেই প্রকৃতপক্ষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। আমরা অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চাই না। দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন, এটাই মঙ্গল হবে জাতির।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা তো প্রকৃত অর্থে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে অবস্থান করছি না। লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছেন, যার বিনিময়ে সংবিধানে লেখা আছে—শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। শুধু আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে না, এটা শহীদদের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতারণা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই যে ১৬ কোটি মানুষকে একটা প্রহসনের শিকার হচ্ছে, তারা কি মনে করছে মানুষ এটা সারাজীবন মেনে নেবে? তাদের কোনো জবাবদিহিতা কোনো সময় কোনদিন করতে হবে না? আমি বলে দিচ্ছি, আমি বেঁচে না থাকলেও এই ধরনের জিনিসের জবাবদিহিতা বাংলার মানুষ অবশ্যই আদায় করবে।

ড. কামাল আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। আমরা সরকারকে অনুরোধ জানাই দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা ৩০ ডিসেম্বরকে ভুলে যেতে চাই, এ নিয়ে বিতর্ক করতে চাই না। চাই না কোনো হিংসা, সঙ্ঘাত-হানাহানি। সুষ্ঠু রাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনতে এ বছরের মধ্যেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এ সরকারের কয়েক মাস হয়েছে। এখন আর দেরি করে লাভ নেই। তাড়াতাড়ি একটা প্রকৃত অর্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিন।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সংবিধান প্রণেতা কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, মোকাব্বির খান, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, মহসিন রশীদ, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।

এমআই