খালেদা জিয়াসহ অন্যায়ভাবে বন্দি করা সকলকে মুক্তি দিতে হবে: ড. কামাল

খালেদা জিয়াসহ অন্যায়ভাবে বন্দি করা সকলকে মুক্তি দিতে হবে: ড. কামাল

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রধাননেত্রী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ যাদের অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদের অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

রবিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ঐক্যফ্রন্টের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকে যে দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমি এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত পোষণ করছি। আজ নেগেটিভ কথা বলতে চাই না, পজেটিভ কথা বলতে চাই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নতুন নির্বাচন ও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আমাদের দাবি। এই দাবি পূরোণের জন্য আমাদের ঐক্যকে আরো সুসংহত করতে হবে।

তিনি বলেন, এখানে সবাই বলেছেন- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যায়ভাবে বন্দ্বি করে রাখা সকল রাজবন্দ্বিকে মুক্তি দিতে হবে। আমিও তাদের মুক্তির ব্যাপারটি পুরোপুরি সমর্থন করি।

ড. কামাল বলেন, সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। এটা সংবিধানে লেখা আছে। সকল ক্ষমতার মালিক যদি জনগণ হয় তাহলে অবশ্যই শাসন ব্যবস্থা হবে গণতন্ত্র। সকল দলের মানুষের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐক্য থাকতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সরকারি চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড বলেছে শিগগিরই বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু সরকার এখনো বিএনপি চেয়ারপারসনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। আমি অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তিনি বাইরে বের হলে জনগণকে ধরে রাখা যাবে না বলেই তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। যে কোন মূল্যে তাকে আটক রাখতে চাইছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, সরকার আমাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্যকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। বিএনপি যদি সরকারের কাছে ফ্যাক্টর না হয় তাহলে এই দলটিকে নিয়ে এতো কথা কেন? এসময় তিনি দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আহ্বান জানান।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতিক, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা নূরুল আমিন বেপারী, শাহ আহমেদ বাদল, অধ্যাপক আবু সাঈদ, রেজা কিবরিয়া, প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।

এমআই