মোকাব্বির বেইমান, ওর সভায় ১০ জন লোকও হতো না: লুনা

মোকাব্বির বেইমান, ওর সভায় ১০ জন লোকও হতো না: লুনা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেয়ায় সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানকে বেইমান বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা।

মঙ্গলবার দুপুরে একাদশ সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান। তিনি যে আসন থেকে নির্বাচন করেছেন, সেটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সিলেট বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এম ইলিয়াস আলী এ আসন থেকে একাধিকবার এমপি হন। তিনি নিখোঁজ থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে। তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। পরে মোকাব্বিরকে সমর্থন দেন বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ছিল ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে নির্বাচিত কেউ শপথ নেবেন না। সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন মোকাব্বির। এ বিষয়ে তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ‘মোকাব্বির বেইমান। তাকে কেউ চিনত না। তার কোনো ভোট নেই। সে আমার বাসায় এসে, আমার কাছে বলেছিল সে ইমানদার।’

নির্বাচনের আগে মোকাব্বিরের কোনো সমর্থন ছিল না উল্লেখ করে লুনা বলেন, মোকাব্বিরের সভায় ১০ জন লোকও হতো না। আমাদের সমর্থন নিয়েই সে এমপি হয়েছে। তার যোগ্যতা থাকলে সে যেন আবার প্রার্থী হয়।

এদিকে মঙ্গলবার শপথ নেয়ার পর মোকাব্বির খান বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। আপনারা জানেন ঐক্যফ্রন্ট আমাকে মনোনয়ন না দেয়ায় পরে যিনি (ইলিয়াসপত্নী লুনা) মনোনীত হয়েছিলেন, উনাকে আমি আশীর্বাদ জানিয়ে ইংল্যান্ডে চলে গিয়েছিলাম। উনি মনোনয়ন পাওয়ার পর আইনি জটিলতায় নির্বাচন করতে পারেননি। তখন আমার দল (গণফোরাম) আমাকে বারবার ফোন করেছে। আমি আমার দলের অনুরোধে এসেছিলাম এবং এটিকে সৌভাগ্য বলেন আর যেটাই বলেন আমার মনোনয়নটা আমি প্রত্যাহার করতে পারিনি। আর এই না পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল।’

এর আগে ৭ মার্চ শপথ নেয়ার কথা থাকলেও শপথ নেননি মোকাব্বির। সেদিন গণফোরাম থেকে বলা হয়েছিল মোকাব্বির দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে শপথ নেবেন না। এর পর শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত কেমন করে এলো- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকাব্বির বলেন, ‘এর আগে ৭ মার্চ আমার শপথ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার দলের প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত হলো যে ৭ মার্চ শপথ না নিয়ে অন্য যে কোনো দিন আমি যেন শপথ নিই। সেদিন দলের যে প্যাডে যে প্রক্রিয়ায় আমি স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলাম, সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবারও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে যোগদান করেছি।’

সংসদে তার ভূমিকা কী হবে এমন প্রশ্নে মোকাব্বির বলেন, সংসদে আমি শতভাগ বিরোধী দলের ভূমিকা নেব। জনগণের কথা বলব। গণফোরামের যে বক্তব্য সেগুলো তুলে ধরব। দেশের জনগণের চিন্তাভাবনা আমার মুখ থেকে যেন সবাই শুনতে পায় সেই হিসেবে কাজ করব।

এমজে/