সরকার যা বলে আদালত তাই করে: রিজভী

সরকার যা বলে আদালত তাই করে: রিজভী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার দুদক-কে দিয়ে আরেকটি কুৎসা রটনার নতুন অধ্যায় শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আদালত ব্যবহার করে সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকে থাকা তিনটি হিসাব জব্দের নির্দেশের আদেশ করিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

সরকারের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একটি আদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে৷ মিথ্যা সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে আটকে রাখা হয়েছে অন্যায়ভাবে।

এখন বিএনপিকে চাপে ফেলতে এই সরকার দুদককে দিয়ে একটি কাল্পনিক ও মিথ্যা আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে আদেশ করিয়েছে। এটি একটি আষাঢ়ে গল্প। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে সুসংগঠিত হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সরকার ভীত হয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাল্পনিক মিথ্যা অভিযোগ সামনে এনেছে। কারণ এখন সরকার যা বলে নিম্ন আদালত তাই করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আর যদি সরকারের নির্দেশ না মেনে কোন বিচারক ন্যায় বিচার করেন তাহলে তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়। যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ বিচারক মোতাহার হোসেন ও প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।

রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা পরিষ্কার বলতে চাই- তারেক রহমানের কোন অবৈধ অর্থ নেই। সেখানে তাঁর যা অর্থ আছে তা ইনল্যান্ড রেভিন্যুতে ট্যাক্সপেইড অর্থ। সেদেশে আইনের শাসন রয়েছে, সুতরাং সেখানে আনডিসক্লোজড মানি ট্র্যানজেকশন হওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসল’রা বারো বছর ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজে তারেক রহমান এর অবৈধ সম্পদের কোন সন্ধান পায়নি। অথচ ঢালাওভাবে তাঁর বিরুদ্ধে কত যে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে অপপ্রচার করেছে সেটির ইয়ত্তা নেই। এখন দুদককে দিয়ে আরেকটি কুৎসা রটনার নতুন অধ্যায় শুরু করলো। যুক্তরাজ্যের বিদ্যমান আইনে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আদালতের হস্তক্ষেপের কোন এখতিয়ার নেই। সুতরাং বাংলাদেশে যে অপরাজনীতি চলছে, এটা তারই প্রতিফলন।

তিনি বলেন, জিয়া পরিবারের প্রতি সরকারের প্রতিহিংসার প্রতিফলন এটি। সরকারের মদদে দুদক আদালতকে ব্যবহার করে যে আদেশ জারি করিয়েছে সেটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

এমজে/