সরকারের দুরভিসন্ধি থেকে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান ড. কামালের

সরকারের দুরভিসন্ধি থেকে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান ড. কামালের

সরকারের দুরভিসন্ধি থেকে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিয়ে সরকার যেন জনগণের অধিকার খর্ব করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

শুক্রবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশের নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নির্বাচন জনগণের মনোপুত হয়নি। ভোটের মতের প্রতিফলন ঘটেনি এতে।

বর্তমান সংসদকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে গণফোরাম নেতা বলেন, এই সংসদ যেন সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের অধিকার খর্ব না করতে পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

কাউন্সিলে উপস্থিত আছেন গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ড. রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, অধ্যাপক আবু সাঈদ, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।

এদিকে কাউন্সিলে যোগ দিয়েছেন দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেয়া সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান।

আজ কাউন্সিলে কামাল হোসেনের তিন আসন পরই মঞ্চে বসেছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান। এর আগে দলের আরেক সদস্য সুলতান মনসুর দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ায় তাকে বহিষ্কার করে গণফোরাম। তবে মোকাব্বিরের বিষয়ে দল এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।আজ কাউন্সিলে তার উপস্থিতি নিয়ে নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন মোকাব্বির খান। দলের অনুমতি না নিয়ে এমন একটি পদক্ষেপ নেয়ায় তাকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। দলের প্রধান ড. কামাল বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন।

এমনকি শপথ নেয়ার তিন দিন পর ৫ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে মোকাব্বিরকে সেখান থেকে বের করে দেন। সেই সময় কয়েকজন গণফোরাম নেতা জানিয়েছিলেন- তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে।

ওই ঘটনার দেড় মাসের মাথায় শুক্রবার ড. কামালের সঙ্গে একসঙ্গে কাউন্সিলমঞ্চে প্রবেশ করেন মোকাব্বির খান।