ঘূর্ণিঝড় ফণী থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সরকারের কোনো ব্যবস্থাপনা নেই বলেও তিনি দাবি করেন।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে তাঁতী দল আয়োজিত এক প্রতীকী অনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ২টায় অনশন শেষ হয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পানি পান করিয়ে নেতা-কর্মীদের অনশন ভাঙান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ অনশন কর্মসূচি পালিত হয়।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীতে এ পর্যন্ত ১৫ জন মানুষ মারা গেছে। কিন্তু মারা যাওয়ার কথা ছিল না। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার মানুষ রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই হাজার হাজার মানুষের জন্য রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এই ব্যবস্থা কে করবে? সরকারকেই করতে হবে। কিন্তু সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। অথচ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বড় বড় কথা বলছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য রাস্তায় নামতে হবে। সরকার যদি মুক্তি না দেন, তাহলে গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে নামতেই হবে।
রিজভী আহমেদ বলেন, দেশে এক ব্যক্তির শাসনে চলছে। তার ইচ্ছায় বাঁচা-মরা নির্ভর করছে। কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। কারণ, তিনি অসুস্থ। তাকে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয়া হচ্ছে। তাই সরকারকে বলব, সুস্থভাবে বাঁচার জন্য বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন।
তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনশনে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন বাহারসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
