আওয়ামী লীগ জিতলে হাতে চুড়ি পরব : কাদের সিদ্দিকী

আওয়ামী লীগ জিতলে হাতে চুড়ি পরব : কাদের সিদ্দিকী

নাটোর, ২৫ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার পর যদি আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে তবে হাতে চুড়ি পরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার নাটোর শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে নাটোর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি আরো বলেন, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মাত্র ১৩ পার্সেন্ট ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার মানায় না। দলটি এই রকম নির্বাচন আরেকবার করলে তাদের স্থান হবে মাটির নিচে।

আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে না, তারা ভালবাসে ক্ষমতা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আর আওয়ামী লীগ করে না বলেই সেই দলে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী হাসানুল হক ইনু আর বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে জুতার বানানোর শ্লোগান দেয়া মতিয়া চৌধুরীর মতো মন্ত্রী আছে।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাকে ইনু-মতিয়ারের সাথে বেহেশতে যেতে বললেও যাবো না। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে জাসদ যা হত্যা না করেছে আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের লোককে তার চেয়ে অনেক বেশি হত্যা করেছে।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এভাবে ক্ষমতায় এলে তিনি হবেন মহিলা স্বৈরাচার। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মহিলা স্বৈরাচার উপাধি নেওয়া উচিত হবে না।

তিনি নাটোরের রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি নাটোরে আটদিন অবস্থান করে আব্দুল কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ করে গেছেন। আর পরে নিজ দলের কাজে আহম্মদপুর স্কুল মাঠে তাঁবু খাটিয়ে থাকার সময় সেই আব্দুল কুদ্দুসই গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে দেন।

তিনি বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের মতো নিমক হারাম আর আছে বলে আমার জানা নাই।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি নাটোরে তার দলের জন্য গামছার বীজ বপণ করতে এসেছেন। এই বীজ থেকেই এক সময় হাজার হাজার গামছার কর্মী-সমর্থক তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ, আশাবাদ তার।

নাটোর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহবায়ক শহীদুল ইসলাম মুন্সির সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর প্রতিক হাবিবুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন নবী সোহেল, স্থানীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা তমসের আলী, সাইফুল ইসলাম, কায়সার জামান খান, এসএম আয়নাল হোসেন ও সোহরাব হোসেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯০২ঘ.)