‘কৃষকদের প্রতি সরকারের দয়া-মায়া নেই, কারণ তারা ভোটে নির্বাচিত হয়নি’

‘কৃষকদের প্রতি সরকারের দয়া-মায়া নেই, কারণ তারা ভোটে নির্বাচিত হয়নি’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘কৃষকদের প্রতি সরকারের কোনো দয়া-মায়া নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। আওয়ামী লীগের ভুল পলিসির কারণে কৃষক তাদের মাঠের পাকা ধান পুড়িয়ে দিয়েছে।’

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মোশাররফ বলেন, ‘গণতন্ত্র বন্দী থাকায় আজকে সব জায়গায় এত অনিয়ম। এই বন্দী গণতন্ত্রকে আগে মুক্ত করতে হবে। তার আগে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য জনগণের মধ্যে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য তৈরি করতে হবে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে এখন মুক্তি দিন। আর তো জেলে রাখার দরকার নেই। আপনাদের কাজ তো আপনারা করেই ফেলেছেন। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে বন্দী রেখে একতরফাভাবে ভোট ছাড়াই তো ক্ষমতা দখল করেছেন। এখন ঈদের আগেই তাকে মুক্তি দিন। তা না হলে জনগণ যখন বিক্ষোভ করবে তখন কিন্তু এক মুহূর্তও টিকতে পারবেন না।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সংকটকালীন সময়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা সম্ভব হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘গণতন্ত্রের জননী খালেদা জিয়া জেলে কষ্ট করছেন। মাত্র দুই কোটি টাকা কেন্দ্র করে এমনটি করা হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর কাছের লোকজন দুই হাজার কোটি টাকা বা তার চেয়েও বেশি নিয়ে যাচ্ছে তার কোনো শাস্তি হচ্ছে না।’ বর্তমানে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে এসব টাকার কী হবে তা জানতে চান তিনি।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেননি। ক্ষমতার শূন্যতায় ও জনগণের প্রয়োজনে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশে যখন সব দল নিষিদ্ধের মাধ্যমে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেখান থেকে আওয়ামী লীগসহ সব দলকে পুনর্জীবিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বাকশাল গঠন করে মোট ৪৩টি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান এই সকল রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন জন্যই তাকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলা হয়।’

সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

এমআই