চোর বাটপার জামিনে মুক্তি পেলেও খালেদা জিয়া পাচ্ছেন না: দুদু

চোর বাটপার জামিনে মুক্তি পেলেও খালেদা জিয়া পাচ্ছেন না: দুদু

অনেক চোর বাটপার হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামিনযোগ্য মামলায় মুক্তি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।

শনিবার বিকালে রাজধানীর শিশুকল্যান মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাফ) আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের নেত্রী। তার মতো রাস্তা থেকে উঠে আসা নেত্রী বাংলাদেশ কেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে একটিও পাবে না। সেই জন্য তাকে তিলে তিলে মারার পরিকল্পনা করেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। দেশের কত চোর, বাটপার ও খুনি হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট থেকে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী যিনি তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তাকে তথাকথিত মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। ন্যায্য ও আইনগতভাবে তিনি মুক্তি পান।

কিন্তু তা দেবে না বর্তমান অবৈধ সরকার। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা বলি সংগঠন করে আন্দোলন করবো। কিন্তু রাজনীতিতে সংগঠন করে আন্দোলন হয় না। আন্দোলন করেই সংগঠন করতে হয়। তাই বলি আসুন আমরা রাস্তায় নামি। তাহলে দেখবেন কত লোক উপস্থিত হয়েছে আমাদের পাশে। গণতন্ত্র স্বপ্নে পাওয়ার মতো কোনো বিষয় না। এটা যুদ্ধ করে আন্দোলন করে পাওয়ার মতো বিষয়। ১৯৭১ ও ১৯৮৯ সালের দিকে তাকান তাহলে বুঝতে পারবেন।

জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন বর্ণনা করে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের একজন বীর। গণতন্ত্রের সাধক ও অগ্র সৈনিক। শহীদ জিয়াকে আড়াল করা হয়েছে গণতন্ত্রকে আয়াল করার জন্য।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত ১৪ বছর থেকে আওয়ামী লীগ তারেক রহমানকে খুব খারাপ বলে আসছে। তাকে এত খারাপ বলে আসছে তার পরেও তাকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ জিয়া পরিবার মানেই গণতন্ত্র। জিয়া পরিবার মানেই স্বাধীনতা। জিয়া পরিবার মানে ন্যায়-নিষ্ঠার প্রতীক। সেই জন্য এই পরিবারকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কে এ জামানের সভাপতিত্বে এবং কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

এমআই