জনস্বার্থে নয়, সুবিধাভোগীদের স্বার্থে এই বাজেট : সাকি

জনস্বার্থে নয়, সুবিধাভোগীদের স্বার্থে এই বাজেট : সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই বাজেট জবাবদিহিতাহীন।

শনিবার গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বাচ্চু ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপক রায়, অপরাজিতা চন্দসহ নেতৃবৃন্দ। দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।

জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনীতি পুনর্গঠনে নতুন কোনো উদ্যোগ নেই, নেই ব্যাংক খাত, কৃষিখাতসহ বিভিন্নখাতের বিপর্যয় ঠেকানোর কোনো প্রস্তাব। কৃষকদের সমস্যা সমাধানে কোনো নীতিই গৃহীত হয়নি। জনস্বার্থে নয়, সুবিধাভোগীদের স্বার্থেই বাজেট প্রস্তাবনা করেছে সরকার- যা লুটপাটের ধারাকে আরো শক্তিশালী করবে।

অপরদিকে লিখিত বক্তব্যে আবুল হাসান রুবেল বলেন, গত এক দশক ধরে অবিমৃষ্যকারি ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আর্থিক নীতি প্রণয়নের যে ধারা বাংলাদেশে চালু হয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাব তার ব্যতিক্রম নয়। ‘গতানুগতিক বাজেট দেয়া হয়েছে’ বা ‘উচ্চভিলাষী বাজেট’ অথবা ‘বাজেট বৈষম্য বাড়াবে’- এমন কথা বললে তা ভুল হবে না। এটা আর পূর্ববর্তী আর দশটা বাজেটের মতই গতানুগতিক। কিন্তু সেটাই এর প্রধান সমালোচনা নয়, বরং যে পরিস্থিতিতে এই বাজেট দেয়া হয়েছে সেটা যে গতানুগতিকের সীমা অতিক্রম করে একটা বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে সেটা যে এই বাজেট অনুধাবন করতে পারছে না, সেটাই সবচেয়ে মারাত্মক। সবকিছুরই একটা সীমা আছে, লুন্ঠনেরও। সেই সীমা অতিক্রম করে গেলে খোদ যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে সেই লুন্ঠন করা হচ্ছে সেটাই টালমাটাল হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ এখন সেরকম একটা পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে। এই বাজেট সেই পরিস্থিতি অনুমানে পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ এবং তার মোকাবেলায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণেও তার অক্ষমতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।

এমজে/