আমাদের কথা শুনতে সমস্যা কোথায়: সংসদে মোশাররফ

আমাদের কথা শুনতে সমস্যা কোথায়: সংসদে মোশাররফ

কথা বলার সমান সুযোগ ও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্কে উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতীয় সংসদে। মঙ্গলবার সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন কথা বলতে গেলে এ উত্তাপ শুরু হয়।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা তো ৫ শতাংশ, আপনারা (সরকারি দল) শতভাগ। আমাদের কথা শুনতে সমস্যা কোথায়? উনারা (সরকার দলীয় এমপিরা) ইট মারলে পাটকেল তো খেতেই হয়। আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে খুনি বলা হয়। আমরা জবাব দিতে গেলেই, কথা বললেই হাউ-কাউ করা হয়।’

নির্ধারিত ১০ মিনিট ছাড়া অতিরিক্ত ৪ মিনিট সময় নিয়ে ১৪ মিনিট কথা বলেন এই সংসদ সদস্য। শুরু থেকে সরকরের বিভিন্ন উন্নয়ন ও বরাদ্দ নিয়ে কথা বলেন তিনি। শেষ দিকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমান নিয়ে কথা বলা শুরু করলেই শুরু হয় হৈ-চৈ।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সংসদে আসার আগে বলা হয়েছিল, সংসদে এসে অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে। কিন্তু কোনো কথা বলতে গেলেই হাউ-কাউ করা হয়। আমরা তো ৫-৬ জন, পুরো সংসদ তো আপনারাই। আমাদের পাঁচজনের কথা শুনতে এত অসুবিধা কী? যেখানে বিরোধীতা নেই, সেখানেই স্বেচ্ছাচারিতার জন্ম হয়। সেখানে এক নায়কতন্ত্রের জন্ম হয়।’

এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, ‘আমাদের কথা বলার সমান সুযোগ দেওয়া হোক। আমার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বলা হচ্ছে খুনি। আর তারেক রহমানকে বলা হচ্ছে লুটেরা। উনারা ইট মারলে…টিট ফর ট্যাট অবশ্যই সংসদে বলতে পারি। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম বলেছিলাম। কেন বলেছিলাম? যখন একটা দেশ স্বাধীন হয়, তখন যে মা ভাত রান্না করে যোগান দেয়, তারও অবদান ছিল। সেও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা। যে মা অস্ত্র এগিয়ে দিয়েছিল, সেও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধ। যে ঘোষণা দিয়েছিল সেও মুক্তিযোদ্ধা। জিয়াউর রহমান যে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা দিয়েছিল, সারা দেশে এখনো বাজে তাহলে এই কণ্ঠ শুনতে এত অসুবিধা কেন।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা প্রতিবাদ করতে থাকেন।

পরে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কথা বললেই উনারা বিরোধীতার চেষ্টা করে। এই দেশে জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমান অনেক কিছু করেছেন। আপনার শতভাগ আছেন, আমরা না হয় ৫ শতাংশ আছি। আপনারা কথার অবমূল্যায়ন করেন। আপনারা শুধু বলবেন, আমরা বলতে পারব না? আপনারা গলাবাজি করবেন, আমাদের বলার সুযোগ দেবেন না, তা তো হয় না।’

এমআই