বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করা হলে মানুষ খুব কষ্ট পায় : আমির খসরু

বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করা হলে মানুষ খুব কষ্ট পায় : আমির খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মানুষের বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা ও বিচার বিভাগের উপর আস্থা উঠে যাওয়ার চাইতে বড় ধরনের কোনো সমস্যা একটি দেশে হতে পারে না। তিনি বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করা হলে মানুষ খুব কষ্ট পায়। জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘বিচার বিভাগে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ প্রতিবাদী যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিএনপি নেত্রী সাবিনা নাজমুল, অ্যাডভোকেট নিপুণ চন্দ্র রায় প্রমুখ।

আমির খসরু বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি অংগে সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। এমনকি সুশীল সমাজের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। সবাই কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। কথা বললেই খুন-গুম ও হামলা-মামলায় জড়িয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি এটা যেমন সকলের কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, ঠিক তেমনি বেগম খালেদা জিয়াকে যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে সেটাও সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিষ্কার।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই নেতা বলেন, সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে হস্তক্ষেপ করছে বলেই সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা প্রতিনিয়ত নিজেদের প্রোটেক্ট করার জন্য বলে বেড়াচ্ছেন যে তারা বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে হস্তক্ষেপ করছেন না। হস্তক্ষেপ যদি নাই করে থাকেন তবে এমন প্রশ্ন আসে কেন?

তিনি বলেন, সরকার তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার লক্ষ্যে আদালতকে ব্যাবহার করে অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখেছেন। এদেশের মানুষের গণদাবি বেগম জিয়ার মুক্তি এবং একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া।

এমজে/