ভয়ঙ্কর আতংকে আজ সারাদেশ কাঁপছে: সেলিমা রহমান

ভয়ঙ্কর আতংকে আজ সারাদেশ কাঁপছে: সেলিমা রহমান

ভয়ঙ্কর আতংকে আজ সারাদেশ কাঁপছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেছেন, আপনারা দেখছেন ভয়ঙ্কর আতংকে আজ সারাদেশ কাঁপছে। আজ কথা বলার স্বাধীনতা নাই, ন্যায় বিচার নাই। আজ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আজকে আছে খুন, গুম, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজার লুট।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, নারী সমাজে আজকে জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। আপনারা দেখেছিলেন শিক্ষা খাতে নারীদের কতটা অগ্রগতি হয়েছিলো। কিন্তু আজকে কিশোরীরা স্কুল-কলেজে যেতে ভয় পায়।

কেন ভয় পায়? কারণ আজকে শিক্ষকের উপর আক্রমন হচ্ছে কিন্তু এর কোন বিচার হচ্ছে না। ক্ষমতার প্রভাব এবং দুর্নীতির মধ্য দিয়ে তারা এসকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছিলো। আদালতে তাদের বিচারও হয়েছিলো। তারা ক্ষমতার প্রভাবের সাথে জড়িত ছিলো। আজকে তাদের কার কি হয়েছে তা আমরা জানি না। সাগর-রুনী হত্যা, তনু হত্যা, নুসরাত হত্যা একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটে যাচ্ছে। প্রতিটা হত্যাকান্ডের পর আন্দোলন হয়, সরকার বলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না কিন্তু আস্তে আস্তে সরকার সব ভুলে যায়।

তিনি বলেন, বরগুনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে রাজপথে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রিফাত হত্যাকারী নয়ন-বন্ড ও তার সহযোগিরা অনেকদিন যাবত অপরাধ সংগঠিত করে আসছিলো কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেফতারের নাম করে অপরাধ করতে সহযোগিতা করেছিলো।

সেলিমা রহমান বলেন, আজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্নভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের এই অবৈধ সরকার যারা মিডনাইট নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসে অবৈধভাবে সংসদ চালাচ্ছে তারা এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কারণ তারা নিজেরাই অনৈতিক, তাদের মধ্যে কোন বিবেকবোধ নাই।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ভাবছেন এরকম মানববন্ধন দিয়ে কি হবে? আপনারা অন্যায়ভাবে যাদের কারাগারে আটকে রেখেছেন তাদের কোটি কোটি পরিবার সব যায়গায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সেই উত্তাপ ভয়ংকর উত্তাপ, সেই উত্তাপে আপনারা জিততে পারবেন না।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, বাজেটে কোনো আয় ব্যায়ের ভারসাম্য নেই। বাজেটে গরীবের উপর চাপানো হয়েছে করের বোঝা। এই বাজেট দেয়ার পরও বাংলাদেশের জনগন উত্তপ্ত, তারা ক্ষোভ প্রকাশ করছে। কাজেই আমরা জানি জনগণ আজকে সচেতন। তাই এ অবস্থা আর চলতে পারে না, চলতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আসুন সারাদেশের জনগণকে একত্রিত করে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ইনশাআল্লাহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে ও একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে এবং দেশে সুশাসন ও গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হযয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজকে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে অগণতান্ত্রিকভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে এই অবৈধ সরকার। কারণ তারা জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে থাকলে এই সরকার মিডনাইট এর নির্বাচন কোনো ভাবেই করতে পারত না। তিনি যদি মুক্ত থাকতেন তাহলে তারা কোনোভাবেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে পারত না। সেজন্য নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দেশনেত্রীকে তারা কারারুদ্ধ করেছে।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসেরর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এমজে/