বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা সভাপতি এডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস কালুকদার দুলু বলেছেন, ‘বিশ্বজিৎ, রিফাত, সানাউল্লাহ নূর বাবুকে যেভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারকেও এই বাকশালীরা হত্যা করেছে। সুশাসন ও ন্যায় বিচার না থাকায় দেশে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা ঘটছে। যে কারণে বাড়ছে অন্যায়। বরগুনায় যেভাবে দিন-দুপুরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না। সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ থেকে মুক্তি পেতে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই। বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তি এক সুতোয় গাঁথা।’
শনিবার বিকালে নাটোর জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দুলু আরো বলেন, ‘সরকার বাধা না হলে দ্রুতই কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়া বাকি দুই মামলায় জামিন পাবেন। দলের কাউন্সিলের চাইতেও নেত্রীর মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছি। চেয়ারপারসনের উপস্থিতিতেই আমরা দলের কাউন্সিল করতে চাই। তাই বিএনপির সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ বাহার উদ্দীন বাহার, সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম, সদর থানা বিএনপির সভাপতি রহিম নেওয়াজ, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ, জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ রনি উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
