সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই: রুমিন ফারহানা

সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই: রুমিন ফারহানা

টানা এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরও দেশে মানসম্মত শিক্ষা ও শিক্ষক নিশ্চিত করতে না পারায় সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, টাইমস হায়ার অ্যাডুকেশন একটা জরিপ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় ভারতের ৪৯টি, নেপাল ও শ্রীলংকার একটি, পাকিস্তানের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও সেখানে জায়গা করতে পারেনি। জাপানের উদাহরণ দিয়ে এই বাজেটে বিদেশ থেকে শিক্ষক আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি সরকার এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরও মানসম্পন্ন শিক্ষক তৈরি করতে পারেনি। বিদেশ থেকে শিক্ষক আনার কথা বলতে হয়। তখন সেই সরকার আর ক্ষমতা থাকার নৈতিক অধিকার রাখে না।

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত দায়যুক্ত ব্যয় ব্যতীত অন্যান্য ব্যয় সম্পর্কিত মঞ্জুরি দাবির উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শিক্ষাখাতে বাংলাদেশের বাজেট বরাদ্দের তুলনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাজেট বরাদ্দ দেয়ার পরিমাণ যথাক্রমে নেপাল ৩ দশমিক ৭, ভারত ৩ দশমিক ৮, মালদ্বীপ ৩ দশমিক ২ ও ভুটানের শিক্ষাখাতের বরাদ্দ ৭ দশমিক ৪। বাংলাদেশের মোট বাজেটের ২০ শতাংশ অথবা জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দ রাখার কথা। কিন্তু আমরা দেখছি, শিক্ষায় সেই বরাদ্দ ক্রমেই কমে যাচ্ছে।

বিদেশি চাকরিজীবীরা বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি করা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর নাগরিকরা প্রতিবছর প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে।

আমাদের এমপ্লয়াররা যখন চাকরির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়, তখন দেখা যায়, দেশের স্নাতকোত্তর লেভেলের শিক্ষার্থীদের নিতে পারছে না। চাকরিদাতারা স্পষ্ট করে বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার মান আর্ন্তজাতিক নয়।

তিনি বলেন, নকল ও প্রশ্নফাঁসের প্রবণতায় জিপিএ-৫ বেড়েছে সত্য। কিন্তু শিক্ষার সার্বিক মানের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি। জিপিএ-৫ এখন আমাদের শিক্ষার স্ট্যান্ডার্ড।

রুমিন ফারহানা বলেন, কর্মমুখী শিক্ষায় আগের বছরগুলোর মতো বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকার কর্মমুখী শিক্ষায় আদৌ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই এদেশে ৪৭ শতাংশ শিক্ষিত তরুণ বেকারই থেকে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

এমজে/