কথায় কথায় গ্যাসের দাম বাড়ানো সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গ্যাসেরর দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী চালকদল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আলাল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধ গ্যাস-সংযোগের ব্যবসায় নেমেছে ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে গ্যাসের অপচয় রোধ না করে উল্টো সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি দাম চাপানো হয়েছে। এভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগকে মানায় না। এটা শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে মানালেও শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগের ধ্যান-ধারণার সঙ্গে যায় না। কথায় কথায় সাধারণ মানুষের পকেট কাটা এ সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘তিতাস গ্যাস একটি পূর্ণ লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের রাজস্ব পাওনা রয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। ডেসা, ডেসকো মিলে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানরে কাছে এনবিআরের পাওনা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। মোট ৪৫ হাজার কোটি টাকা ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে আওয়ামী লুটেরাদের সুবিধা দিচ্ছে সরকার। সেসব দুর্নীতি, লুট না থামিয়ে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে সরকার।’
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গণবিরোধী এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। জনগণ একতাবদ্ধ হলে গ্যাসের দাম কমাতে সরকার বাধ্য হবে। তাই এই নিপীড়ন, শোষণমূলক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আলাল বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিকের রিপোর্ট হিসেবে যে সাত লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, তা দিয়ে ১৮টি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যেত এবং মেট্রোরেলের অনেক কাজ এখান থেকে করা যেত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘মোবাইল ফোন কোনো বিলাসবহুল বিষয় না। অথচ সরকার সেই মোবাইল ফোনে শতকরা ২৭ টাকা নিয়ে যাবে। বাজেট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। যাত্রী সংকটে পড়েছে পরিবহনগুলো। দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে এ সরকার। এ সরকারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
জসিম উদ্দীন কবিরের সভাপতিত্বে ও কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, মানিক তালুকদার, মুক্তার আকন্দ প্রমুখ।
এমআই