খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে : মির্জা আলমগীর

খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে : মির্জা আলমগীর

দলীয় চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। অথচ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। যে নেত্রী সারাটা জীবন দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ শিকার করেছেন, আজ সেই নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিনযোগ্য মামলায় সম্পূর্ণ অনৈতিক, অমানবিক এবং বেআইনিভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে’।

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন’ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই গণতন্ত্রের মুক্তি এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা মানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তি হলে, সেটি হবে গণতন্ত্রের মুক্তি, গণমাধ্যমের মুক্তি, গণমানুষের মুক্তি’।

দেশের কোথাও আইনের শাসন নেই মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আজ দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। নিম্নআদালতে বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দেয়া হলো, উচ্চআদালত সেটি হয়ে গেল ১০ বছর। অথচ তিনি এ মামলায় জামিনযোগ্য হলেও তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। আবার দেখলাম, পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে গুলির ঘটনার ২৫ বছর পর এ মামলায় নতুন করে চার্জশিট দিয়ে নতুন নতুন নাম দিয়ে রায় দেয়া হলো। যেখানে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনকে যাবজ্জীবনসহ একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হলো। এ রায় প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার নির্বাচিত না, তাই জনগণের জন্য তারা ভাবছে না। এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের পকেট কাটার মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে শাসকগোষ্ঠী।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রতীকী অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ড্যাবের আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএফইউজের একাংশ সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।

এমজে/