বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ গায়েবি মামলা: রুমিন ফারহানা

বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ গায়েবি মামলা: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, এক-এগারোর সরকারের সময় মামলা হয়েছে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কমিটি গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো তুলে নিয়েছে।

পুরনো মামলার সঙ্গে বিএনপির ২৬ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে যুক্ত হয়েছে নতুন একলাখ মামলা। নতুন করে গায়েবি মামলা বলে এক অদ্ভুত মামলা শুরু হয়েছে নির্বাচনের আগে আগে।

সোমবার জাতীয় সংসদে জরুরি জনগুরুত্ব বিষয়ে স্পিকারের মনোযোগ আকর্ষণ করে তিনি এ কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, মৃত ব্যক্তি, পঙ্গু ব্যক্তি, বিদেশে থাকা ব্যক্তি, ঘটনা ঘটবার আগেই এ ধরণের অদ্ভুত সব মামলা করা হয়েছে গায়েবি মামলার অধীনে। আইনের শাসন আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছিলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। সরকার নিম্ন আদালতকে কব্জা করার পর এখন হাত বাড়িয়েছে উচ্চ আদালতের দিকে।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের কারণে সিনহাকে বিদেশ যেতে হয়েছে। সেই রায়ে তিনি বলেছিলেন, ডুবন্ত বিচার বিভাগ কোনো রকম নাক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি আরো বলেছিলেন, আমিত্বের দম্ভের কথা। তারেক রহমানকে যে নিম্ন আদালত খালাস দিয়েছিলেন, তাকে পরে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। সংবিধানের ১১৫ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে নিম্ন আদালত এখনো কার্যত সরকারের অধীনে রয়ে গেছে। সেপারেশন অব পাওয়ার বাংলাদেশে এক কেতাবি কথা। অনেকটা সোনার পাথর বাটির মতো। রাষ্ট্রের একটি অঙ্গ যদি স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে কাজ করতে না পারে। তাহলে তা রাষ্ট্রের জন্য সমূহ বিপদ তৈরি করে।

রুমিন ফারহানা বলেন, মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে সরকার তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ মামলার মেরিট, তার বয়স, সামাজিক অবস্থান, জেন্ডার- যে কোনো বিবেচনায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জামিন তার অধিকার।

এই নারী এমপি জানান, তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) যাতে সহজে মুক্তি না পান, তাই একটির পর একটি মিথ্যা মামলা সামনে আনা হচ্ছে। বর্তমান শাসক গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা প্রলম্বিত করার পথে তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একমাত্র বাধা মনে করে। তাই মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক এবং উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত রাজনৈতিক মামলায় তাকে কারাগারে আটকে রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

এমআই