মঙ্গলবার রংপুর যাবে এরশাদের লাশ, দাফন ঢাকার সামরিক কবরস্থানে

মঙ্গলবার রংপুর যাবে এরশাদের লাশ, দাফন ঢাকার সামরিক কবরস্থানে

বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেনইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম জানাজা ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে এরশাদের লাশ কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হবে। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার এরশাদের লাশ রংপুরে নেয়া হবে। রংপুরে জানাজা শেষে ঢাকায় জানাজা শেষে তাকে সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এদিকে জাপা সূত্র জানিয়েছে, রংপুরে জানাজা শেষে ঢাকায় এরশাদের আরও দুটো জানাজা হবে। এর মধ্যে একটি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। অপর জানাজা কোথায় হবে সেটি এখনও ঠিক হয়নি।

রবিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের জন্ম ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তিনি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন এরশাদ। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর নাগাদ তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন শুরু করেন।

১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এ সামরিক শাসক। এরপর তাকে বেশ কয়েকবছর কারাবরণ করতে হয়।

রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারে দীর্ঘদিনের সমস্যার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২৬ জুন) সিএমএইচ-এ ভর্তি হন এরশাদ। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর ১২ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারেননি তিনি। নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশে ফিরে শপথ নেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন।

এরপর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গত ২০ জানুয়ারি ফের চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুর যান তিনি। দেশে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে সিএমএইচেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এরশাদ।

এমজে/