প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে গিয়ে বলেছিলেন যে, তার (বেগম খালেদা জিয়ার) ছেলেকে (তারেক রহমান) কথা কম বলতে বলো, না হলে তার মা সারাজীবন জেলে থাকবে। এখানেই প্রমাণ হলো, আইন-আদালতের কারণে নয়, শেখ হাসিনার জন্য বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাসাস ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মীর সানাউল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরিন, জাসাস কেন্দ্রীয় নেতা মামুন আহমেদ, জাহাঙ্গীর শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আপনারা অনেকে আন্দোলনের কথা বলেছেন। অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আবার বলেছেন, ঘরের ভিতরে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না। কিন্তু ঘরে কথা বলতে বলতেই বড় ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি হয়। তাই এতে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রিয়া সাহা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগ ও নিপীড়নের যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা প্রধানমন্ত্রী ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রিয়া সাহা মিথ্যা বলেছেন এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রতি বিনষ্ট করতে চেয়েছিলেন-সেজন্য অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- প্রিয়া সাহা কি বলতে চেয়েছেন, সেটা তার কাছ থেকে শোনা উচিত এবং তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া উচিত। অথ্যাৎ এর মধ্যে অবশ্যই রহস্য আছে। আর প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
সরকার নার্ভাস মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমাদের বড় সমস্যা বন্যা। এ বছর বৃষ্টিটা আগে শুরু হয়েছে।কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করে নাই। সরকার যদি কর্ণপাত করতো তাহলে আমাদের ৫৪টি নদীর মুখে যে বাঁধ আছে, সেই বাঁধগুলো পর্যায়ক্রমে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার আলোচনা করতে পারতো। আর আলোচনা মাধ্যমে ভারত সরকারকে বাধ্য বা রাজি করাতে পারতো।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যদি পর্যায়ক্রমে বাঁধগুলো ছাড়া হতো তাহলে বাংলাদেশে বন্যা হতো না। তবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হতো না। কিন্তু বন্যা কমানো সম্ভব ছিল। সুতরাং আমি মনে করি, এ ব্যাপারে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’
এমজে/