পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ

তিন মামলায় ৯০০ নেতাকর্মী আসামি

তিন মামলায় ৯০০ নেতাকর্মী আসামি

ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও প্রিজনভ্যান থেকে আটক দুই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তিনটি মামলায় দলটির ৯০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ রমনা থানায় একটি এবং শাহবাগ থানার এসআই রহিদুল ইসলাম ও এসআই চম্পক বাদী হয়ে আরো দুটি মামলা করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এ তিনটি মামলা করা হয়েছে।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এসআই মহিবুল্লাহ রমনা থানায় শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছেন। যার ভেতরে ৩৬ জন গ্রেপ্তার আছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।’

অন্যদিকে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে দুই মামলায় ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।

দুটি থানায় দায়ের করা সব মামলার এজাহারে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব মামলায় সব মিলিয়ে ৯০০ বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা শেষে বাসায় ফেলার পথে পুলিশের প্রিজনভ্যান ভেঙে তিন নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপি কর্মীরা। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে মঙ্গলবার বিকালে বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় বিএনপির কর্মীরা হামলা চালায় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। প্রিজনভ্যানে উঠে পুলিশের হাতে আটক দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এর পরই রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। অমিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে।

মধ্যরাতের পর থেকে বিএন‌পির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, যুগ্ম মহাস‌চিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি চালায় বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তল্লাশি চালানোর সময় তিন নেতার কেউ বাসায় ছিলেন না।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৭২২ঘ.)

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১১০৩ঘ.)