‘সরকারের অদক্ষতা, উদাসিনতার কারণে মানুষ ঈদ উদযাপন করতে পারছে না’

‘সরকারের অদক্ষতা, উদাসিনতার কারণে মানুষ ঈদ উদযাপন করতে পারছে না’

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার কারণেই মানুষের মনে ‘ঈদ-আনন্দ নেই’। সোমবার ঈদের দিন দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর তিনি সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এই কথা বলেন।

ঈদের নামাজ ও কোরবানির পর্ব শেষ করে বেলা ১২টায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে এসে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করেন। এ সময়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, নবী উল্লাহ, সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, শায়রুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন,‘আজকে সারাদেশের বেশিরভাগ এলাকা বন্যা কবলিত, ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করেছে, ডেঙ্গু আতঙ্কে দেশের বেশিরভাগ মানুষ আতঙ্কিত। মানুষের মনে যে ঈদের আনন্দ, সেই ঈদের আনন্দ নেই। বিএনপির পরিবারের মধ্যেও ঈদের আনন্দ নেই। আমরা বলতে চাই, সরকারের অদক্ষতা, তাদের ব্যর্থতা, তাদের উদাসিনতার কারণে আজকে দেশের মানুষ সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারছে না।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন,‘আজকে অত্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষক আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে এসেছি। যেহেতু আমাদের নেত্রী আমাদের পাশে নেই। অন্যায়ভাবে আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন,‘আমরা মনে করি, দেশে এজনগনের সরকার নেই বলে, জনগণের প্রতি এই সরকারের দায়বদ্ধতা নেই বলেই সকল ক্ষেত্রে অব্যবস্থা ও নৈরাজ্য চলছে। এই নৈরাজ্য-অব্যবস্থা থেকে উত্তরনের একমাত্র পথ হচ্ছে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।’

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ঈদের দিন বেগম খালেদা জিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিতেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির মহাসচিবসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এই কর্মসূচিটি চালিয়ে যাচ্ছেন। কারাগারে যাওয়ার পর ডায়া্বেটিকস, আর্থারাইটিসসহ নানা রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। জিয়ার কবর জিয়ারতের পর নেতৃবৃন্দ বনানীতে আরাফাত রহমান কোকোর কবরও জিয়ারত করেন।

এমআই