ছাত্রদলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন যারা

ছাত্রদলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন যারা

নিয়মিত ছাত্রদের ভাগ্য খুলেছে ছাত্রদলের রাজনীতিতে। এবার যাদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বছর ২০০০ সালে কিংবা এর পরে কেবল তারাই ছাত্রদলের নেতৃত্বের জন্য লড়তে পারবেন। এমন নিয়ম জারি হওয়ার পর থেকে ছাত্রদলের অনেকেই নেতৃত্বে আসার স্বপ্ন দেখছেন।

ছাত্রদল কমিটিতে অনিয়মিতদের দৌড়াত্ব আর দেখা যাবে না বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা।

কেননা ছাত্রদল প্রতিষ্ঠার পর বছর দশেক কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হলেও গত প্রায় ২০ বছর সেটা আর হয়নি। ‘ওপর মহল’ যাদের চেয়েছেন তারাই এসেছিলেন নেতৃত্বে। তবে এবার এ নিয়ম জারির ফলে নিয়মিত ছাত্ররা সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার আশা করছেন।

বিএনপি সূত্রে জানায়, গত ১৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের পুনরায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলে সভাপতি-সম্পাদক পদে ভোট হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্রদল নিয়ে নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে লক্ষ্যে গত ৩ জুন ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত সামনে নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু নতুন নিয়মে বাদ পড়ে যান দলের অনেক সক্রিয় কর্মীরা। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। কয়েক দফা বিক্ষোভ আর অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন। এসময় বিক্ষোভকারী ১২ নেতাকে বহিস্কার করে দলটি।

তবে সমস্যা সমাধানে গত ৬ জুলাই বিক্ষুদ্ধ নেতাদের সঙ্গে স্কাইপে বৈঠকে বসেন তারেক রহমান। দীর্ঘ বৈঠকের পর সমস্যার সমাধান হয়।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদক পদে ভোট হতে যাচ্ছে।

এরইমধ্যে এ দুই পদে প্রার্থী হতে নিয়মিত ছাত্র নেতারা মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।

মোবাইলে ফোন করে, এসএমএস পাঠিয়ে অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে গণসংযোগ করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ছাত্র সংগঠনটির সভাপতি পদে আগ্রহীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিঙ্কন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল আলম টিটু, ঢাবির যুগ্ম-সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মামুন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু, ঢাবির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানভির রেজা রুবেল, বিলুপ্ত কমিটির বৃত্তি ও ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ খান, বিলুপ্ত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এরশাদ খান ও বিলুপ্ত কমিটির সহ-সম্পাদক ফজলুর রহমান খোকন। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচিতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম-সম্পাদক তানজিল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন, বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মুতাসিম বিল্লাহ, ঢাবির যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ ও ঢাবির জসিম উদ্দিন হলের খায়রুল আলম সুজন।

সভাপতি প্রার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি সাজিদ হাসান বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তিসহ আগামী দিনে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জন্য গণআন্দোলন গড়ে উঠবে। সেই আন্দোলনে আমি বিগত দিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই। সেজন্য আশা করি কাউন্সিলররা আমার ওপরে আস্থা রাখবেন।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন গণমাধ্যমকে বলেন, নারীরাই এখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।তার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখতে এ পদে প্রার্থী হয়েছি।

তিনি যোগ করেন, আমি তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা একজন কর্মী।আশা করি তৃণমূলের কর্মীরা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

এমআই