ধানমণ্ডি ৩২ ভবনে প্রবেশে কাদের সিদ্দিকীকে বাধা

ধানমণ্ডি ৩২ ভবনে প্রবেশে কাদের সিদ্দিকীকে বাধা

ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর ভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হয়েছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মীদের বাধার মুখে ঐ ভবনের সামনে থেকে ফিরে যেতে হয়েছে তাকে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তার গতিরোধ করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে বলেন, "Male are not allowed, Only family members are allowed"। এরপর বঙ্গবীর সেখান থেকে ফিরে আসেন।

বৃহস্পতিবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এ দিকে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর দিনে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু হত্যার একমাত্র প্রতিবাদকারী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমকে প্রবেশ করতে না দেয়ায় নিন্দা জানিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

এ ঘটনায় দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, "ধানমণ্ডির বাড়ি শুধু আমাদের নয়, ওই বাড়ি আপনারও।"-বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠা কন্যা শেখ রেহানা বঙ্গবীরকে এ কথা বলার পর থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম ১৫ আগস্ট বিকালে বঙ্গবন্ধু ভবনে যান।

তিনি বলেন, সেখানে আসরের নামাজ আদায় করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার স্থানের কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছরও বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করতে গেলে প্রথমে বঙ্গবীরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, একদিকে সরকার মুজিববর্ষ ঘোষণার মাধ্যমে দল-মত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুকে যথাযথ মর্যাদা দেয়ার আহ্বান জানায়, অন্যদিকে তার হত্যার একমাত্র সশস্ত্র প্রতিবাদ করে ১৬ বছর যিনি নির্বাসনে ছিলেন সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মতো মানুষকে বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশে বাধা দেয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারের এমন আচরণে প্রতীয়মান হয় যে, সরকারেরই একটা অংশ বঙ্গবন্ধুকে সরকারি বা দলীয় সম্পদ হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চায়, যা কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাম্য নয়।