‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে বেগম খালেদা জিয়া

‘সত্য বলার জন্য তারেক রহমানের প্রচারণা বন্ধ’

‘সত্য বলার জন্য তারেক রহমানের প্রচারণা বন্ধ’

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণকে ঘিরেই বিএনপি ও শহীদ জিয়ার রাজনীতি। এ কারণে শহীদ জিয়াসহ গোটা পরিবারেই জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত। শহীদ জিয়া, শহীদ আরাফাত রহমান ও তারেক রহমানের প্রতি জনগণের অগাধ ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ। বারবারেই এ দেশের মানুষ সর্বাত্মকভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার গুলশান চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘তারেক রহমান ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, তারেক রহমান তার বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতোই এ দেশের মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়ে তিনি বিএনপির রাজনীতিকে সুসংঘঠিত করেছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। সেখান থেকে তিনি মাঝেমধ্যে ইতিহাসের আলোকে সত্যনির্ভর বক্তব্য দেন। এই সত্য কথা ভয় পায় বলেই সরকার তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এক শ্রেণির পত্রিকা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে এদেশের মানুষ সব সত্যই জানে।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ কতগুলো পত্রিকা আছে অন্যায়ভাবে তারেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা ওই পত্রিকাগুলো করছেন তারাই নিজেরা নিজেদের চরিত্রটা বিশ্লেষ করে দেখবেন যে তারা কি জিনিস।

‘ তারেক রহমান আমার ছেলে। তার কিছু পাবার নেই, শুধু কিছু দেবারই আছে মানুষের জন্য। সেজন্য সে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন যাতে সে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে, দেশের মানুষের মাঝে ফিরে আসতে পারে। এই দোয়া সবাই করবেন।’ 

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরীর এ্যানির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসে, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মঞ্চে ছিলেন।

গবেষণাধর্মী নতুন বইটি লিখেছেন রয়টার্সের সাংবাদিক এম মাহাবুবুর রহমান। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতীয় অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান। বইটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক বাংলা প্রকাশনী। প্রকাশক ডেমোক্রেটিক পলিসি ফোরাম বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক পারভেজ মল্লিক।

মৌলিক এ গবেষণা গ্রন্থে তারেক রহমানের রাজনৈতিক রূপরেখা ও গতিপথের ওপর ১১টি অধ্যায় রয়েছে। শেষ অধ্যায়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের মূল্যায়নমূলক লেখা সংযোজন করে বইটিকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। বইয়ে গবেষণা টিমে ছিলেন মাহবুবা নাজরীনা জেবিন ও এফএম ফয়সাল।

বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের মধ্যে লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, প্রয়াত সাংবাদিক সিরাজুর রহমান, অর্থনীতিবিদি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ড. মাহবুবউল্লাহ, সাংবাদিক ডেভিড নিকলসন, জেমস স্মিথ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল লতিফ মাসুম, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, ইউএনসিএ ও হোয়াইট হাউস প্রেসকোরের সদস্য এবং জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আইনজীবী এমএ সালাম, ব্লগার ও শিক্ষক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো ড. মো. রুহুল আমিন খন্দকার, আমার দেশ-এর সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক ও লেখক মাহবুবা নাজরীনা জেবিন।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর নাসির, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, আবদুল কাইয়ুম, মিজানুর রহমান সিনহা, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, কামরুজ্জামান রতন, নুরী আরা সাফা, আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপিকা তাজমেরী এস ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অধ্যাপিকা তাহমিদা আখতার টফি প্রমূখ শিক্ষকরা ছিলেন।

আরো ছিলেন নাজিমউদ্দিন আলম, আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবুল হক নান্নু, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, সাইফুল ইসলাম নিরব, শা্ফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

(জাস্ট নিউজ/একে/০০৪২ঘ.)