রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে রয়েছে এই সরকার: খন্দকার মোশাররফ

রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে রয়েছে এই সরকার: খন্দকার মোশাররফ

জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ‘বৈধ প্রেসিডেন্ট’ বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর সোমবার বিকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র‌্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সংসদে কোনো কারণ ছাড়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের কথায়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নাকি অবৈধ। ১৯৭৮ সালের জুন মাসে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের জনগণ ভোট দিয়ে জিয়াউর রহমানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিল। এই আওয়ামী লীগের মতো ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ তারিখে রাতে ডাকাতি করে নয়। আমরা বলতে চাই, শহীদ জিয়াউর রহমান অবৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বৈধ প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এ দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর যারা এই কথা (জিয়াউর রহমান বৈধ প্রেসিডেন্ট নন) তারা আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে সরকারের রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) অবৈধ বলে যা বলেন, সেটা তার মনে নিজেদের দুর্বলতা রয়েছে বলে আজকে বলেন। এই কারণে যে, এই সরকার অনির্বাচিত, রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে গায়ের জোরে রয়েছে। যেহেতু তারা অবৈধ, সেজন্য এখন অন্যদের ওপরে দোষ চাপিয়ে এই যে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছে তা আজকে ধামাচাপা দিতে চায়, তাদের নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চায়। এটা আওয়ামী লীগ সব সময় করে আসছে।’

জিয়াউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাকশাল করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে এ দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আওয়ামী লীগের রেকর্ড হচ্ছে, গণতন্ত্র হত্যা এবং বিএনপির রেকর্ড হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তাই আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায় জোর করে রয়েছে, অবৈধভাবে রয়েছে। তার জন্য তারা আজকে আবোল-তাবোল কথা বলে।’

দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশ-জাতি আজকে এই অবৈধ সরকারের যাতাকলে নিষ্পেষিত। অর্থনীতি আজকে ধ্বংসপ্রাপ্ত, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে গেছে, সামাজিক অশান্তি, নারী-শিশু নির্যাতন, আজকে আমরা বালিশ-পর্দার গল্প শুনি। দুর্নীতি কোথায় গেছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আজকে জনগণ এই অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। এই মুক্তি একমাত্র বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো দিতে পারে। তাই মহিলা দলসহ আমাদের বিরাট দায়িত্ব গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে কারণ তিনি গণতন্ত্রের মা। জেলে রেখে গণতন্ত্র মুক্তি করা সম্ভব নয়। আপনারা যে যে অবস্থানে আছেন, গণতন্ত্র পূণঃপ্রতিষ্ঠার জন্যে আপনারা সকলের প্রস্তুত থাকুন। ইনশাল্লাহ দেশে স্বৈরাচার অতীতে টেকেনি, এবারও টিকবে না। সময় আসছে, জনগণ তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।’