ভোটাধিকার কেড়ে নেবার পর বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নেয়া হচ্ছে

ভোটাধিকার কেড়ে নেবার পর বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নেয়া হচ্ছে

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও বাস্তবে তারা স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করছে। এক দেশে দুই অর্থনীতি দুই সমাজ কায়েম করেছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেবার পর এখন মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারও কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

বুধবার সকালে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক একথা বলেন।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের পর দেশে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। তবে গণসংগ্রামের পথে এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে না পারলে এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারে চরম দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ট শক্তি। তিনি এই অবদমনের ভীতিকর, অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারীতার পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ভোট ডাকাতির বিদ্যমান সংসদ বাতিল, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি জানান। এই লক্ষ্যে তিনি দল ও জোটগত অবস্থান অক্ষুন্ন রেখে একেবারে ন্যূনতম দাবি ও কর্মসূচির ভিত্তিতে যুগপৎ ও সমন্বিতভাবে রাজপথের সংগ্রাম জোরদার করতে সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

দেশের বিদ্যমান মারাত্মক বৈরী, নৈরাজ্যিক ও গভীর অনিশ্চিত পরিস্থিতি ও সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে নিঃশেষ করার দমনমূলক কৌশল পরিহার করে বিরোধী দল ও জনগণকে আস্থায় নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। এবং বলেন সরকারি দল যে গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করে বিরোধীদের জন্যও সমান সুযোগ নিশ্চিত করা দরকার। এই জন্যে ছিনিয়ে নেয়া জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ধ্বংস প্রায় গণআস্থাহীন নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, শাসকদের লক্ষ্য হচ্ছে কার্যকরি রাজনৈতিক বিরোধীতাকে নির্মূল করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ন্যূনতম রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়া হয়েছে এবং নিয়মতান্ত্রিক ধারায় সরকার পরিবর্তনের সুযোগ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিদ্যমান গভীর সংকট উত্তরণে পার্টির ৩১ দফা প্রস্তবানা পেশ করেন। প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্রের উৎস সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার বন্ধ করা। ধর্ম ও আদর্শগত বিশ্বাসের কারণে নাগরিকদের মধ্যে যাবতীয় বৈষম্য বিলোপ করাসহ বিভিন্ন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, মাহমুদ হোসেন, এ্যাপোলো জামালী, সংগঠক হুমায়ুন মুজিব, রোকসানা বেগম, রাজিয়া সুলতানা, মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ।

এমআই