বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন গ্রেপ্তার

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে শনিবার গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রাজধানীর পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র‍্যাব-৪-এর এক উপপরিদর্শকের করা মামলায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের পল্লবী অঞ্চলের সহকারী উপকমিশনার এস এম শামীম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই মামলায় কর্নেল (অব.) মো. ইসহাক মিয়ান নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিস্তারিত পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, র‍্যাব-৪–এর উপপরিদর্শক মো. আবু সাইদ গত শনিবার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কর্নেল (অব.) ইসহাক মিয়ানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন–২০১৮–এর ২৭,৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের পল্লবী অঞ্চলের সহকারী উপকমিশনার এস এম শামীম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য ই-মেইলে প্রেরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।’

এস এম শামীম জানান, ইসহাককে র‍্যাব-৪ গ্রেপ্তার করে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আর মেজর (অব.) হাফিজকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। হাফিজ লন্ডন থেকে বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তবে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আজম মিয়া মেজর হাফিজকে গ্রেপ্তার বা হস্তান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের ভেতরে তারা থাকেন না। হাফিজকে গ্রেপ্তার বা হস্তান্তরও তারা করেননি।

র‍্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক জানান, ইসহাক নামে একজনকে গ্রেপ্তারের খবর তিনি জানেন। কিন্তু হাফিজকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি এ বিষয়ে র‍্যাব-৪-এর মেজর পদবিধারী অন্য এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। মুঠোফোনে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এমজে/