আমি ফিরবো, কেঁদো না : খালেদা জিয়া

আমি ফিরবো, কেঁদো না : খালেদা জিয়া

ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : ‘আমি ফিরবো, কান্নার দরকার নেই।’ আদালতের রায় ঘোষণার মিনিট কয়েক আগে অশ্রুসজল আত্মীয় স্বজন ও সমর্থকদের এই বার্তাই দিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন এবং তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এক খবরে জানিয়েছে, রায় শুনতে আদালতে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া নামাজ আদায় করেন। কান্নারত আত্মীয় স্বজনদের স্বান্তনা দেন।

গুলশানে অবস্থিত নিজের বাড়ি ফিরোজা ত্যাগ করার সময় বেগম খালেদা জিয়ার অনেক স্বজনই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘কান্নার প্রয়োজন নেই। আমি ঠিক থাকবো। তোমরা সবাই অপেক্ষা করো। আমি ফিরবো। চিন্তা করো না। শক্ত থাকো।’

আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন- তার বড় বোন, ভাবি, ছোট ভাই, ভাতুষ্পুত্র ও কন্যা এবং তার আইনজীবীরা। বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি একই মামলায় তার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিনি বর্তমানে লন্ডনে আছেন। একই সাজা দেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক চার সহযোগীকে।

বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই লিখেছে, দণ্ডিত হওয়ায়, রবিবার পর্যন্ত কমপক্ষে তিনদিন জেলে থাকতে হবে বেগম খালেদা জিয়াকে। আজই যদি আদালতের রায়ের সার্টিফায়েড পেতেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা, তবুও তারা উচ্চ আদালতে আপিল করার সময় পেতেন না। রবিবার পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে। উচ্চ আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়ার বিষয়ে।

তবে আরো বড় প্রশ্ন হলো, ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা বেগম খালেদা জিয়া। এই রায়ের ফলে বেগম খালেদা জিয়াকে ওই নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হতে পারে। বাংলাদেশের ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেই, পরবর্তী ৫ বছর কেউ নির্বাচন করতে পারেন না। বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় উচ্চ আদালত তাকে জামিন দিলেও, যদি রায় বহাল রাখে, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য ঘোষিত হবেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবার নির্বাচনে অংশ না নিলেও, এবার অংশ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। রায় ঘোষণার একদিন আগে তিনি নিজ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি বলেন, এবার বিরোধী দল বিহীন মাঠে কাউকে গোল দিতে দেওয়া হবে না।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৩২ঘ.)