খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট পাল্টানোর চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা আলমগীর

খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট পাল্টানোর চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা আলমগীর

কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার গুলশানের লেকশোর হোটেলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় গত ২০ মাস ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এসব মামলায় যারা আসামী আছেন, তারা সবাই জামিন পেয়েছেন এবং জামিনে আছেন। কিন্তু দেশনেত্রীকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্নভাবে সরকার তার জামিনে বাধাগ্রস্ত করছে।

যতুটুক জানি- তার যে মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিলো, সেই মেডিকেল রিপোর্ট এখন পর্যন্ত আসেনি। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিলো, সেই রিপোর্ট বাদ দিয়ে অন্য একটি রিপোর্ট দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে আমরা পরিস্কারভাবে লক্ষ্য করছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রাখার ব্যবস্থা করছে সরকার। এতে করে উনার যে অধিকার এবং মানবাধিকার আছে সেটা লঙ্ঘন হচ্ছে।

তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি গত দশ বছরে শুধুমাত্র ভিন্নমত এবং ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা পোষণ করার কারণে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে মামলার আসামী করা হয়েছে। মামলা দেয়া হয়েছে এক লাখ আট হাজার চৌদ্দটি। ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সরকার এবং আওয়ামী লীগের হাতে মারা গেছেন ১৫২৬ জন। আমাদের হিসাব মতে, গুম হয়েছেন বিএনপির ৪২৩ জন সর্বমোট ৭৮১ জন।

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তানসহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া গত দশ বছরে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে গুম এবং খুন হওয়া বিরোধী দলের মোট ২৭টি পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।