রাজনীতিতে স্থায়ী সংঘাত সৃষ্টি হলো: মির্জা আলমগীর

রাজনীতিতে স্থায়ী সংঘাত সৃষ্টি হলো: মির্জা আলমগীর

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে স্থায়ীভাবে সংঘাতময় পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘এই আদেশে সারা বাংলাদেশের মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। যে প্রত্যাশা মানুষের মধ্যে ছিল, যে অন্তত সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থা- সবার শেষ আশা ভরসার স্থল সেখান থেকে বেগম খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি সেই ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‌‘মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোকে দুর্বল করে ফেলার জন্য প্রথম থেকেই এক এক করে পদক্ষেপ নিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলেছে।’

বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনকে দুর্বল করে ফেলেছে অভিযোগ করে মির্জা আলমগীর বলেন, সরকার সংসদকে একদলীয় করেছে, গণমাধ্যমের ওপরও জোর করছে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে না।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীনরা এতই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে বিরোধী দলকে তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না। এ জন্য তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে জেল জুলুম করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে।

মির্জা আলমগীর জানান, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ, মিছিল হবে। ঢাকা মহানগরে সব থানায় বেলা ২টার পর বিক্ষোভ মিছিল হবে। তিনি বলেন, জনগণের সক্রিয় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের ফল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।