হানাদার বাহিনীর মতো আ’লীগকেও ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হবে: মির্জা আলগমীর

হানাদার বাহিনীর মতো আ’লীগকেও ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হবে: মির্জা আলগমীর

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্বৈরশাসকদের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেও তাড়ানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস বলে, মানব সভ্যতার ইতিহাস বলে, অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতি চালিয়ে কিছু দিনের জন্য ক্ষমতায় থাকা যায়, চিরকালের জন্য থাকা যায় না।

বুধবার বিকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বিজয়দিবসের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যেভাবে স্বৈরাচার পরাজিত হয়েছে, অতীতে যেভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে আজকের হানাদার বাহিনী, দখলদার বাহিনী এই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরিয়ে দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় এই বাংলাদেশকে উদীয়মান ব্যাঘ্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল বিদেশিরা। আজকে সেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। লুটেরাদের কারণে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া, দেশের সুষমতা সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি রাজনীতি করে। আর বৈষম্য সৃষ্টি করছে আজকের সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার আর সুশাসনের পক্ষে বিএনপি। আওয়ামী লীগ অপশাসনের রাজনীতি করছে। শান্তির পক্ষে বিএনপি আর অশান্তি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ। অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই আওয়ামী লীগ সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রক্ষীবাহিনী তৈরি করে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে, ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখে ডাকাতি করে এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করেছে’। ‘অতএব আজকে সময় নেই,। বিপর্যয়ের হাত থেকে, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে এ দেশকে রক্ষা করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর এর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে এ দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির। জাতীয়বাদী শক্তি এবং দেশপ্রেমিক সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এ দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং জনগণের সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে’-বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে তাদের মধ্যেই ৮ হাজারের ওপরে। শেখ মুজিবের ফুফাতো ভাই’র নাম রাজাকারের তালিকায় আছে। শেখ মুজিবের চাচা, ৪৩জন এমপি- যারা পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেছিল, তাদের নাম আছে।’

তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা যদি ভালো করে দেখি, তাহলে সব চেয়ে বেশি রাজাকার গোপালগঞ্জে এবং পারিবারিকভাবে যদি দেখি, তাহলে সবচেয়ে বেশি রাজাকার শেখ মুজিবের বংশে। এতো চেষ্টা করেও কিন্তু জিয়াউর রহমানের পরিবারের কারো নাম রাজাকারের তালিকায় আনতে পারেনি।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, চেয়ারপারসেরন উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবীব-উন-নবী-খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

এমআই