অবস্থান কর্মসূচীতে নেতারা

আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার প্রত্যয়

আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার প্রত্যয়

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বারবার স্থান পরিবর্তনের পরও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০ দলীয় জোটের অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ঢল দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে বলে মনে করেন জোটের নেতারা।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২০ দলীয় জোটের অবস্থান কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলা হয়।

আন্দোলনের মাধ্যমে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এ জন্য সারা দেশের নেতাকর্মীদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে আহ্বান জানান তিনি।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা তাঁকে কারাগার থেকে মুক্ত করব। পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়াও চালিয়ে যাব।

সরকারের নির্দেশে আদালত মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজা দিয়েছে অভিযোগ করে মওদুদ আহমদ বলেন, এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালন করতে গেলেও সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তাতে বাধা দিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ পালন করে যাব। কিন্তু আজকের এই কর্মসূচি পালনের জন্য এরই মধ্যে তিনটি জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমাদের কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু এর পরও আজকের এ উপস্থিতি প্রমাণ করে, রাস্তায় নামার সুযোগ দেওয়া হলে সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসবেন। কারণ, একজন জনপ্রিয় নেত্রীকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। এ জন্য এই সরকারকে অনেক খেসারত দিতে হবে।

দেশে গণতন্ত্র বাদ দিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অভিযোগ করে মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনব।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জয়নাল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান প্রমুখ।

এছাড়া ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির শাহাদত হোসেন সেলিম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈশা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান নিরব, পিজিপির আব্দুল মতিন সাউদ প্রমুখ।

পুলিশি বাধার কারণে কয়েক বার অবস্থান কর্মসূচির ভেন্যু পরিবর্তন হয়। প্রথমে প্রেসক্লাব ও পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অবস্থান কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও অবস্থান কর্মসূচী পালন করতে দেয়নি পুলিশ। পরে তা নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১১৫২ঘ.)