খালেদা জিয়াকে দেখে এসে অঝোরে কাঁদলেন কোকোর স্ত্রী ও কন্যা

শারীরিক অবস্থার অবনতি, দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

শারীরিক অবস্থার অবনতি, দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হয়েছে। তাঁর কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। কিছু খাচ্ছেন না, খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার স্বজনরা।

রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে স্বজনরা গণমাধ্যমকে এ কথা জানান। এর আগে বিকাল তিনটায় তারা হাসপাতালে প্রবেশ করেন তারা।

বেগম খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, কিছু খাচ্ছে না এবং খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ডাক্তার আজকে (রবিবার) বোধহয় এসেছিল তারা ওষুধ দিয়েছে কিন্তু সে ওষুধে কাজ হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার দরকার।

জামিনের ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে স্বজনদের কোনো কথা হয়েছে কিনা গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, সেদিন তো জামিন দিলো না এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।

সেলিমা ইসলাম বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার যে চিকিৎসা দরকার এখানে সে চিকিৎসা হচ্ছে না। চিকিৎসা না হলে কেমন করে বাঁচবেন সে?

তিনি বলেন, তার স্বাস্থ্যের আগের চাইতে আরো অনেক বেশি অবনতি হয়েছে। সেদিন তো তার ফাস্টিং (খালি পেটে সুগারের পরিমাণ) বললাম ১৫, আজকে ১৮। তিনি হাত সোজা করতে পারছে না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আংগুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাটু অপারেশন করা হয়েছে। হাটুতেও ব্যথা হাঁটু ফুলে গেছে সে পা ফেলতে পারছে না।

সাক্ষাৎ করতে যাওয়া স্বজনদের মধ্যে ছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মীলা সিথী, আরাফাত রহমান কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার নাতী সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম, নাতনী আরিফা ইসলকম প্রমুখ।

বেগম সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা তো পারমিশন পাই না আজকে একমাস হলো অনেক বলার পরে আমরা দেখা করার অনুমতি পেলাম। আমরা কাছে আসলে তাও তো তার একটু ভালো লাগে কিন্তু আমরা যে দেখতে আসবো সেই পারমিশন পাও তারা দিচ্ছে না। এক মাস দেড় মাস হয়ে যায় কোন পারমিশন দেয় না।

উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়া কোনো কিছু বলেছেন কিনা গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি অসুস্থ, তিনি তো উন্নত চিকিৎসা চাইবেনই। তার সুস্থ হওয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরী।

বেগম খালেদা জিয়া জনগণের উদ্দেশ্যে কোনো বার্তা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে সেলিমা ইসলাম বলেন, ম্যাডাম আপনাদের ও দেশের সকল জনগনের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে প্রায় এক ঘন্টার বেশী সময় কাটান বড় বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মীলা সিথী, আরাফাত রহমান কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার নাতী সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম, নাতনী আরিফা ইসলাম প্রমুখ।

খালেদা জিয়াকে দেখে এসে অঝোরে কাঁদলেন কোকোর স্ত্রী ও কন্যা

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে বসে অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে জাহিয়া রহমান ও স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিকে।

এর আগে রবিবার বিকাল তিনটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রবেশ করেন স্বজনরা। হাতে ছিল দুটি ফুলের তোড়া ও একটি ব্যাগ।

সাক্ষাৎ শেষে জানা যায়, খালেদা জিয়ার জন্য শীতের পোশাক নিয়ে গিয়ে ছিলেন স্বজনরা।