একই ওয়ার্ডে লড়ছেন ক্যাসিনো সাঈদ ও তার স্ত্রী

একই ওয়ার্ডে লড়ছেন ক্যাসিনো সাঈদ ও তার স্ত্রী

ক্যাসিনোকাণ্ডে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ এবারও অংশ নিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে। সাবেক এই কাউন্সিলর ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবারও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখীও এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন।

শুক্রবার সকালে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ডিএসসিসি নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাঈদ ও তার স্ত্রী প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ায় এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে লাটিম প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার কাঙ্ক্ষিত প্রতীক ছিল ঠেলাগাড়ি। প্রতীক বরাদ্দের সময় সাঈদ রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে রাশেদুল হক নামে একব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

সাঈদ ঠেলাগাড়ি প্রতীক না পেলেও তার স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখী ওই প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এই প্রতীক বুঝে নিয়েছেন।

২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে মাদক-সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর রাজধানীর ক্যাসিনো ব্যবসায় সাঈদের সংশ্লিষ্টতা মেলে। তিনি ঢাকায় ক্যাসিনোর রাজাধিরাজ ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ। সম্রাটই গতবার সাঈদকে ঢাকা সিটিতে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছিলেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে সাঈদ আত্মগোপন করেন। দীর্ঘদিন সিটি কর্পোরেশনের বৈঠকে অংশ নেননি। এসব কারণে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। শুদ্ধি অভিযান ঝিমিয়ে পড়ার কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে গত ২৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।

তবে এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি সাঈদ। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হককে প্রার্থী করেছে। যিনি এবার ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে দুই সিটির সবগুলো কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে।