মাইক ভাঙচুর, হামলা আর আটকের অভিযোগ ইশরাকের

মাইক ভাঙচুর, হামলা আর আটকের অভিযোগ ইশরাকের

দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা, প্রচার মাইক কেড়ে নেওয়াসহ আটক ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।

এ সময় ধানের শীষের প্রার্থী আরো বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নগরবাসীর কাম্য। এ জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ, নিরপেক্ষ প্রশাসন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একটি বিশেষ মহল থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ক্রমেই বিনষ্ট করা হচ্ছে।’

রবিবার দিনভর প্রচারকাজ শেষে সন্ধ্যায় গোপীবাগের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তাঁর পাশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেন, ‘হাজারীবাগ পার্কের সামনে থেকে আমার প্রচারকাজ চালানোর সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা রিকশার গতিরোধ করে দুজন কর্মীকে মারধর করে মাইক ও মাইকের সরঞ্জাম রেখে দেয় এবং পরবর্তী সময়ে থানা-পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেয়।’

‘প্রায় একই সময় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর যোগীনগর রোডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী মেহেরুন নেসার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় শ্রমিক দলের ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সালাম গুরুতর আহত হন। ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ানগর এলাকার যাত্রাবাড়ী থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইয়ামিন, ইয়াছিন ও ইমনকে ধানের শীষের পক্ষে পোস্টার লাগানোর কারণে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে’, অভিযোগে বলেন ইশরাক।

এ ছাড়া বিভিন্নস্থানে নেতা-কর্মীদের আটকের কথা উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, ‘আটকের খবর পেয়ে আমি থানায় যেতে চাইলে পুলিশই আমাকে জানায়, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরো দাবি করেন, ’৪১ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর ওয়্যারস্ট্রিটের সামনে থেকে ধানের শীষের পক্ষে মাইকিং করার সময় মাইক ভাঙচুর করে এবং জুয়েলকে মারধর করে আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে যায়।’

ইশরাক হোসেন এই ধরনের হামলা, আটক ও হয়রানির নিন্দা জানিয়ে এসব বন্ধের জন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।