খালেদা জিয়ার সাজা নীলনকশার অংশ: মির্জা আলমগীর

খালেদা জিয়ার সাজা নীলনকশার অংশ: মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ): বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের নীলনকশার অংশ। সেই নীলনকশা হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়া যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। বর্তমান সরকার চায়, আবারো ৫ জানুয়ারির মতো ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি সমাবেশের অনুমতি চাওয়া হবে। কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেবে বলে তিনি আশা করেন। সমাবেশের তারিখের বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন দেশের রাজনীতিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, তিনি দেশের পাঁচটি আসনে বারবার নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। কখনো পরাজিত হননি। বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে ‘নেত্রী থেকে মা’ বানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। কিন্তু তাতেও সরকার বাধা দিচ্ছে। বর্তমান সরকার বিএনপি ও বিরোধী দলকে কথা বলা ও আন্দোলনের কোনো সুযোগই দিচ্ছে না। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দিচ্ছে। নাশকতা কোথায় হচ্ছে? যেখানে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সুযোগ দিচ্ছে না। এর মাধ্যমেই পরিষ্কার হয়, সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবেই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গণগ্রেপ্তার করছে। তারা চায়, বিএনপি যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। যাতে তারা আবারো একতরফাভাবে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে পারে। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে। কিন্তু সরকার শান্তিপূর্ণভাবে সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। কারণ, মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

খালেদা জিয়ার সাজার আগে ও পরে দলের জ্যেষ্ঠ ৭৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে চার হাজার ৩০০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৪৫২ঘ.)