দুঃসময়ের মূলমন্ত্র ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ : রিজভী

দুঃসময়ের মূলমন্ত্র ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান ভয়াবহ দুঃসময়ে গোটা জাতির মুলমন্ত্র হোক ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। সংশপ্তক আন্দোলনের মুল স্লোগান হোক ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’।

তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমান রবিবার লন্ডনে শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর জনাকীর্ণ আলোচনা সভায় মাতৃভূমির ভৌগোলিক স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসার ডাক দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, আমি মনে করি তাতে দল মত নির্বিশেষে দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষকে এক কাতারে এসে সাড়া দিতে ও সকলকে সক্রিয় শরিক হতে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

লিখিত বক্তব্যে রিজভী বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী ছিল। হি ওয়াজ নট অনলি এ ভিশনারি লিডার, হি ওয়াজ এ ম্যান অব এ্যাকশন। এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশ ও জাতির জন্য তখনই ষড়যন্ত্রের হিংস্র ছোবল তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাদের পাথেয় হয়ে অমলিন রয়েছে তার দিকনির্দেশনা, আদর্শ, কর্মসূচি ও তার ব্যক্তিগত জীবনাচরণ।

তিনি বলেন, তারেক রহমান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, স্বাধীন দেশের নাগরিকরা নিজ দেশেই এখন যেন পরাধীন। শুধু পরাধীনই নয়, আরো উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এখন ধীরে ধীরে দেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতাও হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের পাখির মতো গুলী করে হত্যা করা হচ্ছে, গত ২০ দিনে ১০ জন, এক বছরে ৫০ এর অধিক এবং গত দশ বছরে প্রায় ৩৫০ জন নিরীহ বাংলাদেশীকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ।

নানা অজুহাতে ভারত থেকে পুশ ব্যাক চলছে, বাংলাদেশের প্রতিবাদ করার সাহস নেই।

রিজভী জানান, তারেক রহমান বলেছেন, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলন শুধু বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন, জনগণের বাংলাদেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এখনই বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে দলমত ভুলে সকলে না দাঁড়ালে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দেশ।

তখন আর কিছু করার থাকবে না। দেশ, জাতি ও মাতৃভূমির স্বাধীনতা হরণের এই ক্রান্তিকালে দূর থেকে সমালোচনা পরিত্যাগ করে বিএনপির সাথে রাজপথের আন্দোলনে শরিক না হলে সরকারের দ্বারা আগামীতে সকলের জন্য ভয়াবহ ও করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান যা বলেছেন তা প্রণিধানযোগ্য।

এমজে/