নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন: বিএনপি

নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন: বিএনপি

নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শেষে শনিবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এ অভিযোগ করেন।

ইভিএম বিভ্রাট, সাংবাদিক মারধর, কোথাও কোথাও সংঘর্ষ, বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগসহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এ ভোটগ্রহণ।

ভোট শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় ইভিএম ভোট জালিয়াতির পথ উন্মুক্ত করেছে বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভোট কেন্দ্রে নানান অনিয়ম, বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ মারধর করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

ফখরুল বলেন, ‌প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) গণমাধ্যমে বলেছেন- এজেন্টদের ঠিকে থাকার সামর্থ্য থাকতে হবে। এজেন্টদের তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি। প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রসহ আশপাশ এলাকায় সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা মহড়া দিয়েছে। ইসির একজন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন- বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। তিনি নিজেই একথা বলেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই সাতবার চেষ্টা করেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে পারেননি। এভাবে সাধারণ ভোটাররাও বিভ্রান্তে পড়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেসব ভোট কেন্দ্রে শত বাধা উপেক্ষা করেও আমাদের (বিএনপি) পোলিং এজেন্টরা অবস্থান করছিলেন, দুপুর ১২টার মধ্যেই তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

ভোটের ফলাফলের পর বিএনপি সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

এমজে/